চাকমাঘাটে বিজেপি ২৯ কৃষ্ণপুর মণ্ডল যুব মোর্চার যুব সম্মেলনে উচ্ছ্বাসের তরঙ্গ
সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ; পতাকা উত্তোলন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন দিয়ে সূচনা — যুব মোর্চার ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে বক্তব্য রাখলেন বিধায়ক সুশান্ত দেবসহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব
তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরা । ০১ নভেম্বর ২০২৫ঃ চাকমাঘাট কমিউনিটি হলে আজ এক উদ্দীপনাময় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বিজেপি ২৯ কৃষ্ণপুর মণ্ডল যুব মোর্চার বহুল প্রতীক্ষিত যুব সম্মেলন। সকাল থেকেই কমিউনিটি হলের প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে উচ্ছ্বাসে—দলের পতাকায় সেজে ওঠে চারপাশ, আর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যুবকর্মীদের উপস্থিতিতে তৈরি হয় উৎসবমুখর আবহ। শক্তি, শৃঙ্খলা ও সংগঠনের ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে বিজেপির পতাকা উত্তোলন এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়েই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।
মঞ্চে একে একে আসন গ্রহণ করেন ত্রিপুরা প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি ও বিধায়ক সুশান্ত দেব, খোয়াই জেলা বিজেপির সভাপতি বিনয় দেববর্মা, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি মানিক দেবনাথ, কৃষ্ণপুর যুব মোর্চার সভাপতি নির্মল দেবনাথসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সভাপতি নির্মল দেবনাথ যুবসমাজের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ দায়িত্ব সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট মতামত তুলে ধরে বলেন,
“যুব সমাজই সংগঠনের প্রাণশক্তি। তাদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বগুণই বিজেপির ভিত্তিকে আগামী দিনে আরও অগ্রসর করবে।”
তার বক্তব্যে যেমন ছিল দৃঢ়তা, তেমনি ছিল সাংগঠনিক উন্নতির রূপরেখা।
এরপর বক্তব্যে খোয়াই জেলা সভাপতি বিনয় দেববর্মা যুব মোর্চার বিস্তৃত কর্মযজ্ঞ ও মাঠপর্যায়ে তাদের দৃশ্যমান ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন,
“যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণই উন্নয়নের গতি বাড়ানোর মূল চালিকাশক্তি। কৃষ্ণপুর থেকে শুরু করে গোটা অঞ্চলের উন্নয়নে যুব মোর্চার কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ও ত্রিপুরা প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি সুশান্ত দেব। তার বক্তৃতায় উঠে আসে ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং উন্নয়নের শক্ত বার্তা। তিনি স্পষ্টভাবেই বলেন—
“সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গেলে দলমত নির্বিশেষে যুব মোর্চার কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে হবে। উন্নয়নকে বাধা দেওয়ার যেকোনও প্রয়াসকে প্রতিহত করে ত্রিপুরার সামগ্রিক উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”
সম্পূর্ণ সভাজুড়ে ছিল শৃঙ্খলা, উদ্যম আর আগামী দিনের পথচলার দৃঢ় সংকল্প। চাকমাঘাটের এই যুব সম্মেলন তাই শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি বিজেপির যুব রাজনীতির নতুন উদ্যম, দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রত্যয়ের এক উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে মনে করছেন উপস্থিত নেতৃত্বরা।
