
প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতিতে মৃত্যু! TSR বাহিনীর সীমিত শক্তি নিয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা।
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি: সরকারি কোষাগারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেও আদতে দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তর কতটা অকার্যকর—তার জ্বলন্ত উদাহরণ আজ আরও একবার সামনে এল তেলিয়ামুড়া থানার চাকমাঘাট এলাকায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা ধরে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করেও উদ্ধার পেলেন না এক লরির চালক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগের অস্তিত্বই বা কেন?
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল গভীর রাতে, আনুমানিক আড়াইটা নাগাদ। চাকমাঘাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ধর্মনগর থেকে আগরতলা গামী একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। ওই লরির চালক ও মালিক মিহির লাল দেবনাথ দুর্ঘটনার পর গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় গাড়ির সামনের অংশে চেপে আটকে পড়েন। শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বারবার অনুনয়-বিনয় করছিলেন বাঁচার জন্য।
তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রায় সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসন কিংবা দুর্যোগ মোকাবেলা দপ্তরের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যদিও দু-একজন কর্মী কিছু অকার্যকর যন্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু তা দিয়ে উদ্ধার কাজ সম্ভব হয়নি। এমনকি ডিসিএম স্তরের এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছান সকাল ৯টা নাগাদ।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ—এটা শুধুমাত্র প্রশাসনের চরম গাফিলতির ফল। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে হয়তো মিহির লাল দেবনাথকে বাঁচানো সম্ভব হতো।
অবশেষে সকাল প্রায় ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ, চালকের নিথর দেহ উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, তেমনি প্রশ্ন উঠছে দুর্যোগ মোকাবেলা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে। কাগজে-কলমে যতই প্রস্তুতি থাক, বাস্তবে সময়মতো পদক্ষেপ না থাকলে তা যে মূল্যহীন—এই ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তবে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশাসনের মাঝেও প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেখা গেছে TSR-এর বারো ব্যাটেলিয়ানের কিছু কর্মীকে, যারা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে সাহায্য করেন।
আপনি চাইলে এই স্ক্রিপ্টের ছোট বা বড় ভার্সন, কিংবা টেলিভিশন নিউজে সম্প্রচারের উপযোগী কন্ঠস্বর মডুলেশনসহ ভার্সনও পেতে পারেন। জানালে সঙ্গে সঙ্গে করে দিচ্ছি।