
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্টে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ডিউটিরত অবস্থায় থাকা পুলিশ কনস্টেবল বিশ্বজিৎ মালাকার অবৈধভাবে যানবাহন চালক, সবজি বিক্রেতা এবং পণ্য বহনকারী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ‘ওভারলোড’ এর অজুহাতে জরিমানা আদায়ের বদলে প্রণামী নেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে আগত বিক্রেতা, চালক এবং ক্রেতাদের সম্মিলিত অভিযোগ, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ মালাকার আইনত নির্ধারিত জরিমানা না নিয়েও, প্রতি গাড়ি থেকে ১০০, ২০০ কিংবা ৩০০ টাকা করে ‘প্রণামী’ দাবি করছিলেন। কেউ যদি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে নাকি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছিল।
ঘটনার এই অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত সকল পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও বিক্রেতারা। তারা সরাসরি সড়কে নেমে আসেন এবং প্রতিবাদে ফেটে পড়েন, যার ফলে কিছু সময়ের জন্য ওই এলাকার যান চলাচলও বিঘ্নিত হয়। বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্নালাল সেন, তেলিয়ামুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার দে, সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। যদিও ক্ষোভ প্রশমিত হলেও বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ধরণের তোলাবাজির ঘটনা প্রায়ই ঘটে, এবং প্রশাসনের তরফ থেকে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া না হলে তারা আবারও বড়সড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ মালাকারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ মালাকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, এবং সাধারণ মানুষ পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।