
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান; আগরতলা গামী বোলেরো গাড়ি থেকে ৩ কেজি ইয়াবাহা ট্যাবলেট উদ্ধার – প্রশ্ন উঠছে একাধিক থানার ভূমিকা নিয়ে
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি: তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামি থানাধীন চাকমাঘাট এলাকায় রোববার রাতে বড়সড় সাফল্য অর্জন করেছে আসাম রাইফেলস ও কাস্টমসের যৌথ বাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংঘটিত বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। আটক হয়েছে বক্সনগর এলাকার এক যুবক, যে গাড়ি চালকের ছদ্মবেশে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, আসাম রাইফেলস ও কাস্টমসের একটি বিশেষ দল চাকমাঘাট এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আগরতলা গামী একটি বোলেরো গাড়িকে আটক করে। গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৩ কেজি ওজনের ইয়াবাহা ট্যাবলেট, যার বাজারমূল্য তিন কোটি টাকারও বেশি বলে অনুমান করা হচ্ছে। গাড়ির চালককে ঘটনাস্থলেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই অভিযানের পর আসাম রাইফেলস ও কাস্টমসের তৎপরতা প্রশংসনীয় বলে অভিহিত করছেন অনেকেই। তবে পাশাপাশি উঠছে কিছু প্রশ্নও। আটক হওয়া গাড়িটি একাধিক থানা এলাকা অতিক্রম করলেও কিভাবে তা নজর এড়িয়ে যেতে পারলো, সেই প্রসঙ্গে মুঙ্গিয়াকামি থানাসহ অন্যান্য থানার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্নচিহ্ন।
মাদক পাচার প্রতিরোধে এমন অভিযান নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত মাদক প্রবাহ রোধ না করা গেলে যুবসমাজকে এই সর্বনাশা নেশার কবল থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং মাদকবিরোধী অভিযানে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমহলে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে।