
খোয়াই প্রতিনিধি: রাজ্যের তফসিলি জাতি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিচালিত আবাসিক হোস্টেলগুলির পরিকাঠামো, সুবিধা-অসুবিধা ও প্রকৃত বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য বিধানসভা। সেই লক্ষ্যে আজ খোয়াই জেলায় সফর করলেন বিধানসভার পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বিধায়ক রঞ্জিত দাস-এর নেতৃত্বে গঠিত এই প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন এই বিশেষ পরিদর্শন অভিযানে।
সফরের শুরুতে প্রতিনিধি দলটি তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত বিবেকানন্দ দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় ও পেলে আমার উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবাসিক হোস্টেল পরিদর্শন করেন। সেখানে হোস্টেলে বসবাসরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিরা। খোঁজ নেন তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা, পানীয় জলের সুবিধা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, শিক্ষার পরিবেশ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
হোস্টেল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক রঞ্জিত দাস জানান, “পরিদর্শিত হোস্টেলগুলির সার্বিক পরিবেশ অনেকাংশে সন্তোষজনক। আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তা মূলত ভালোই কাজ করছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় নির্দিষ্ট সমস্যা বা ঘাটতি রয়েছে, যেমন পরিকাঠামোগত রক্ষণাবেক্ষণ, জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়গুলি বিধানসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে তুলে ধরব, যাতে আগামী দিনে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।”
বিধায়ক দাস আরও বলেন, “আমাদের এই কমিটির মূল লক্ষ্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তফসিলি জাতি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ অর্থ যথাযথভাবে রূপায়িত হচ্ছে কিনা, এবং সেগুলির প্রভাব সরাসরি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রায় কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নিরীক্ষণ করা।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই এই প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক জেলায় সফর করেছে এবং পরপর বিভিন্ন বিদ্যালয় ও হোস্টেল ঘুরে দেখছে। আজ ছিল খোয়াই জেলার সফর। আগামীকাল তাঁরা পশ্চিম ত্রিপুরা (সদর) এবং সিপাহিজলা জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন স্কুল হোস্টেল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক শ্রী দাস।
এই পরিদর্শন কর্মসূচির মাধ্যমে স্পষ্ট যে, রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু, ওবিসি এবং তফসিলি জাতির ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার পরিবেশ ও সুযোগের মান উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মসৃণ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে আরও মনোযোগ এবং দায়িত্বশীলতার প্রয়োজন রয়েছে — এমন মত প্রকাশ করছেন সমাজের সচেতন মহল।