
তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরা, ২৪ জুলাই। রিপোর্ট; হিরণ্ময় রায়ঃ তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের অস্থায়ী গাড়ি চালক সুব্রত পাল আজ বিকেলে মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এই অকালমৃত্যুর খবরে গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শান্ত স্বভাব ও পরিশ্রমী মনোভাবের সুব্রত পালের আকস্মিক প্রয়াণে শোকাহত তার সহকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা।
সুব্রত দীর্ঘদিন ধরে তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের গাড়ি চালক হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত ছিলেন। ফলে তার মৃত্যু পুর পরিষদে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, আজ বিকেলেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দ্রুত তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার খবর পৌঁছাতেই তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকার হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি সেখানে সুব্রতের মৃতদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সংবাদমাধ্যমকে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন,
“বেশ কিছুদিন ধরেই সুব্রত নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এই মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
তবে, এই মৃত্যুর পেছনে অন্য একটি দিক উঠে আসছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সুব্রত পাল দীর্ঘদিন ধরেই নেশার (ড্রাগস) সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগস গ্রহণই তার মৃত্যুর পেছনে বড় কারণ হতে পারে বলে অনেকের সন্দেহ। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক বা প্রশাসনের তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য মেলেনি।
জানা গেছে, সুব্রত পালের পিতা-মাতা, এবং একজন ছোট ভাই রয়েছেন। তার পরিবার তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় বসবাস করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলেই জানা গেছে, ফলে এই অকালপ্রয়াণ তাদের ওপর এক গভীর দুঃখ ও দায়িত্বের ভার চাপিয়ে দিয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসনের তরফ থেকে সুব্রতের পরিবারের পাশে কী ধরনের সাহায্য বা সহানুভূতির হাত বাড়ানো হয়।